করোনার দ্বিতীয় ধাক্কা সামলাতে রাতের বেলা কারফিউ জারি করা হয়েছে ফ্রান্সে। প্যারিসসহ আটটি শহরে রাত ৯টা থেকে ভোর ৬টা পর্যন্ত থাকবে এ কারফিউ। কারফিউ আগামী অন্তত চার সপ্তাহ থাবে।
বৃহস্পতিবার ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাখোঁ টেলিভিশনে কারফিউর এই ঘোষণা দেন।
দ্বিতীয় দফায় করোনা দেখা দেওয়ায় দেশটির স্বাস্থ্যখাতে জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে। রাতের এই কারফিউ প্যারিসসহ এর আশেপাশের উপশহরগুলোতে বলবৎ থাকবে| বাকি সাতটি শহর হচ্ছে – মার্শেই, লিও, লিল, সেইন্ট ইটিয়েন, রোয়ে, তুলো, গ্রেনোবেল, এবং মন্টপেলিয়ের|
জনসংখ্যার দুই কোটি ২২ লাখ এই কারফিউর আওতায় পড়বে| এর ফলে সন্ধ্যায় ও রাতে কেউ অন্যের বাড়িতে জেতে পারবেন না| জরুরি কারণ ছাড়া কেঊ রাস্তায় বেরোতে পারবেন না| যুক্তিসংগত কারণ ছাড়া কাউকে রাস্তায় পাওয়া গেলে তাকে জরিমানা গুণতে হবে| রেস্তোরা ও পানশালা কারফিউর সময় বন্ধ থাকবে| স্কুল খোলা থাকবে| ভ্রমণ করা যাবে শুধু দিনে|
এদিকে জার্মানিতে গত বুধবার পানশালা ও রেস্তোরাঁর আবারো নিয়ন্ত্রণ আরোপ করা হয়েছে।
এপ্রিল মাসের পর একদিনে সংক্রমণের হার পাঁচ হাজারের বেশি হওয়ার প্রেক্ষিতে এই পদক্ষেপের ঘোষণা দেন দেশটির চ্যান্সেলর আঙ্গেলা মেরকেল।
বৃহস্পতিবার জার্মানিতে আরো ৬৬৩৮ জনের সংক্রমণ শনাক্ত হয়।
সেদিন নতুন আরোপিত এই নিয়ম অনুযায়ী যদি কোনো এলাকায় লাখে পঞ্চাশজনের বেশি আক্রান্ত থাকে, সেখানে রাত ১১টার পরে কোনো পানশালা বা রেস্তোরাঁ খোলা রাখা যাবে না।দুই বাড়ির মধ্য ১০ জনের বেশি এক জায়গায় জড়ো হতে পারবেন না। পুরো ইউরোপজুড়েই দ্বিতীয় দফায় করোনার বিস্তার ঠেকাতে এরকম নানা সতর্কতা নেওয়া হয়েছে।
হল্যান্ডেও আংশিক লকডাউন দেওয়া হয়েছে। রেস্তোরাঁ, পানশালা বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে।
স্পেন উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় কাতালানে আগামী ১৫ দিনের জন্য পানশালা ও রেস্তোরাঁসমূহ বন্ধ করে দিয়েছে।
শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও পানশালা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে চেক প্রজাতন্ত্রে। সেদেশে করোনা সংক্রমণের হার ইউরোপের মধ্যে সবচেয়ে বেশি, লাখে ৫৮১ জন।
আয়ারল্যান্ডে অন্য বাড়িতে বেড়ানো বন্ধের আদেশ দেওয়া হয়েছে বৃহস্পতিবার। তবে বা্চ্চাদের দেখাশুনো বা কোনো সমস্যায় বা মানবিক কোনো কারণ এ আদেশের কার্যকারিতা শিথিলযোগ্য করা হয়েছে।